Saturday, February 10, 2018

Celebrate the guest(মেহমানের মেহমানদারি)


 

 
Narrated by Abu Huraira (R), the Prophet (S :) said,
«من كان يؤمن بالله واليوم الآخر, فلا يؤذ جاره, من كان يؤمن بالله واليوم الآخر, فليكرم ضيفه, من كان يؤمن بالله واليوم الآخر, فليقل خيرا أو ليصمت»
"Whoever believes in Allah and the Last Day, should not hurt the neighbor, whoever believes in Allah and the Last Day, should celebrate the guest, and whoever believes in Allah and the Last Day, he should be as good Talk or be silent ".
 
The Prophet (S :) also said,
«
لا تزال الملائكة تصلى على أحدكم ما دامت مائدته موضوعة بين يديه حتى يرفع»
"The angels continue to show mercy to you until the tablets are set up before the guest."
 

যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে; সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়; যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে; সে যেন মেহমানের মেহমানদারি করে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে; সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকেl

রাসূল (স:) আরও বলেন;

 

মেহমানের সামনে যে পর্যন্ত দস্তরখান বিছানো থাকে, তা না উঠানো পর্যন্ত ফিরিশতারা তোমাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করতে থাকেl

 

বর্তমানে আমরা মেহমানদের মেহমানদারী করতে চাইনাl মেহমানকে আমরা ভয় পাই, ঝামেলা মনে করিl অথচ একজন সত্যিকার মুসলিমের নিকট মেহমানদারি করা খুব প্রিয় এবং সম্মানজনক কাজ। মেহমানদারি করার বিষয়টি একজন মুসলিমের ঈমানের সাথে সম্পর্কিতl এটা একজন মুমিনের ঈমানের পরিপূর্ণতাকে বহন করেl মেহমানের মেহমানদারি করা এবং তাদের সম্মান করা পূর্বের নবী রাসূলদের মধ্যেও ছিলl ইবরাহীম আলাইহিস সালামের যুগ থেকে এর ধারাবাহিকতা শুরু হয় l

 

সাহাবীদের মেহমানদারি::

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীরা মেহমানদারিতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন l কিয়ামত অবধি তাদের মেহমানদারির দৃষ্টান্ত কেউ উপস্থাপন করতে পারবে না l তারা শুধু মেহমানদারিই করেন নি একজন ভাই তার অপর ভাইয়ের জন্য জীবনকে উৎসর্গ কোনো প্রকার কুণ্ঠাবোধ করেন নি l সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হাদীসটি তাদের মেহমানদারির একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণl

বর্ণিত আছেঃ

 

এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আসলে আল্লাহর রাসূল তার স্ত্রীদের নিকট তার আগমনের খবর পাঠানো হলে উত্তর আসলো আমাদের নিকট পানি ছাড়া আর কিছুই নেই i তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের লোকটিকে সাথে নিয়ে গিয়ে মেহমানদারি করার প্রস্তাব দিলে, একজন আনসারী সাহাবী সন্মতি দিল, অথচ ঘরে কেবল বাচ্চাদের খাওয়ার ছাড়া আর কোনো খাওয়ার অবশিষ্ট ছিলনা। সাহাবী ও তার স্ত্রী বাতি জ্বালিয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে  বাতি নিভিয়ে দিয়ে দুইজনই মেহমানের সাথে খাওয়ারের অভিনয় করল, যাতে মেহমান মনে করে তারাও খাচ্ছে অথচ তারা দুইজন না খেয়ে রাত যাপন করল l সকাল বেলা যখন তারা রাসূল (সঃ)এর দরবারে উপস্থিত হলো; রাসূল (সঃ) তাদের বললেন-গত রাতে তোমরা দুইজন মেহমানের সাথে যে ব্যবহার দেখিয়েছ; তাতে আল্লাহ তাআলা তোমাদের দুই জনের কর্মে খুশি হয়ে এ আয়াত নাযিল করেন;

 

এবং অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর অন্যদের অগ্রাধিকার দেয় i যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে- তারাই সফলকাম>>>>সূরা:আল-হাশর, আয়াত:-

0 comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...